আওয়ামী লীগ আত্মস্বীকৃত ফ্যাসিস্ট এবং এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
গতকাল রবিবার (১৭ নভেম্বর) রাতে লন্ডনের একটি হোটেলে ‘কোয়ালিশন ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস ইন বাংলাদেশ’ নামের সংগঠন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘গত ১৬ বছর দেশের মানুষের সঙ্গে আওয়ামী লীগ যে আচরণ করেছে সে জন্য তাদের বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে। তারা শুধু মানুষের অধিকারই হরণ করেনি, তারা দেশে এক অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। তারা চোখের সামনে মানুষকে হত্যা করেছে।’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পিলখানায় সেনাবাহিনীর ৫৭ জন কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের হত্যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ তাদের খুনের রাজনীতি শুরু করেছিল। এর মাধ্যমে তারা সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়ার হীন প্রচেষ্টা চালায় এবং একই সঙ্গে বিডিআর বাহিনীকেও শেষ করে। এই দুই মিশনের পর তারা আঘাত করে জামায়াতে ইসলামীর ওপর। তখন জাতীয় নেতারা উপলব্ধি করতে পারেননি যে এই আঘাত শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে ঠেকবে?’
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছি তখন আমাদের অনেক বন্ধুকে বলেছিলাম, আসুন একসঙ্গে লড়াই করি। তা না হলে ফ্যাসিবাদের কবলে সবাইকে পড়তে হবে। সেটার পরিণতি আজ দেশবাসীর কাছে একটি জ্বলন্ত ইতিহাস।’
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নির্যাতনে যারা দেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাদের আশ্রয় ও নাগরিকত্ব দেওয়ায় দেশটির সরকারের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান জামায়াত আমির।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্য সরকারকে অনুরোধ করব যে আপনারা বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে এগিয়ে আসুন। আপনারা কোনো দুষ্কৃতকারীকে প্রশ্রয় দেবেন না। যারা দেশের টাকা পাচার করেছে, লুণ্ঠন করে এখানে নিয়ে এসেছে, আপনারা তাদের পাকড়াও করে ওই টাকাগুলো আমাদের ফেরত দিয়ে সাহায্য করুন।’
এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার মুফতি সদরুদ্দিন, উলামা মাশায়েখ ইউকের সভাপতি শায়েখ মওদুদ হাসান, জামায়াতে ইসলামী ইউরোপের মুখপাত্র ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লা, প্রফেসর ড. হাসনাত হোসাইন, আইনজীবী ব্যারিস্টার আতাউর রহমান, নাজির আহমেদ, মানবাধিকার সংগঠন মুসলিম ভয়েস এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মাহফুজ নাহিদ ও বিশিষ্ট আইনজীবী মির্জা আসহাব বেগ।