বুধবার , ২২শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রাম

আওয়ামী সন্ত্রাসীদের এদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই: শাহজাহান চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর ও সাবেক এমপি জননেতা আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন,আওয়ামী লীগ চোর, ডাকাত, দুর্নীতিবাজ, টেন্ডারবাজ, সন্ত্রাসী। তাদের এদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাত ১০ টায় নগরীর বাকলিয়া থানা কালামিয়া বাজারস্থ লিজা গার্ডেনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ১৭নং প্রসাশনিক ওয়ার্ডের উদ্যোগে আয়োজিত দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

১৭নং ওয়ার্ড আমীর কামাল হোসাইনের সভাপতিত্বে ওয়ার্ড সেক্রেটারী ওহিদুল কাদেরের সঞ্চালনায় দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নুরুল আমিন। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ,বাকলিয়া থানা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যক্ষ সুলতান আহমদ,১৭নং ওয়ার্ড এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী মহিউদ্দিন, অর্থ সম্পাদক ইকরামুল হক ও অফিস সম্পাদক এহছানুল হক মিলন সহ প্রমূখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেন, প্রশাসনের মাঝে ঘাপটি মেরে বসে থাকা আওয়ামী দোসরদের চিহ্নিত করে সরানোর ব্যবস্থা করতে হবে। চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে। আগামী দিনে আর কোনো স্বৈরাচার পতনে আমরা আন্দোলন করব না। আগামীর আন্দোলন হবে ইসলামী বিপ্লবের আন্দোলন।

তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী হলো একটি তাকওয়া ভিত্তিক সংগঠন। জামায়াতে ইসলামীকে বাংলাদেশের জনগণ অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখতেছে। তাই জামায়াত কর্মীদের কে পরিশুদ্ধ হয়ে সংগঠন করতে হবে। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে দিনরাত পরিশ্রমের মাধ্যমে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। টার্গেট ভিত্তিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। ৯২ লক্ষ মানুষের চট্টগ্রামে জামায়াতে ইসলামীর কর্মকাণ্ড লক্ষণীয় হতে হবে। জনে জনে দাওয়াতী কাজের মাধ্যমে সংগঠন সম্প্রসারণ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দিনরাত পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের উন্নয়নমুলক সংস্কার জনগণের সামনে দৃশ্যমান হচ্ছে। এককালের ভিখারি এখন হাজার কোটি টাকার মালিক। যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে তারাই মুলত আওয়ামী লীগের দোসর। তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে।
শেখ মুজিবের বংশধরের কেউই এদেশে আর রাজনীতির সুযোগ পাবে না।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে অধ্যক্ষ নুরুল আমিন বলেন, অবৈধ হাসিনা সরকার দীর্ঘ ১৬ বছর আমাদের কে প্রকাশ্যে কুরআন-হাদিসের দাওয়াত মানুষের কাছে পৌঁছাতে দেয়নি, অসংখ্য জুলুম নির্যাতনের মাধ্যমে আমাদের নেতৃবৃন্দ কে শহীদ করেছেন! কিন্তু আমরা নিঃশেষ হয়ে যায় নি,আমরা ঈমানী শক্তিতে বলিয়ান হয়ে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের কাজ করে গেছি,সামনেও করে যাব ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরো বলেন, আমাদের মাঝে বুনয়ানুম মারসুসের মতো ভাতৃত্ব সৃষ্টি করতে হবে। চিন্তার ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে। পরামর্শ ভিত্তিক কাজ করতে হবে। সংগঠনের ভিতরে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক সমালোচনার দ্বার উন্মোচন করতে হবে। মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করতে হবে। দায়িত্ব পালনে কারো উপর জুলুম করা যাবে না। দায়িত্বশীলদের প্রতি আনুগত্যের পরাকাষ্ঠা দেখাতে হবে।আমানতদারিতা চুড়ান্ত পর্যায় দেখাতে হবে। চর্চার মাধ্যমে দায়িত্বশীলদের ভালো বক্তা ও মোটিভেশনাল স্পীকার হতে হবে। সার্বিক কাজে সময় সচেতনতা বা সময়ের সদ্ব্যবহার এবং শৃঙ্খল জীবনযাপন করতে হবে। হতাশ হওয়া যাবেনা, ধৈর্য্য এবং হিম্মতের সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। নতুন পুরাতন সবার মাঝে সুসম্পর্ক স্থাপনের জন্য যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে হবে। পরিবেশ পরিস্থিতির আলোকে সিদ্ধান্ত নিতে উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ করতে হবে।


সম্পর্কিত খবর