বৃহস্পতিবার , ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রাম

মানুষের দুর্ভোগ কমাতে ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন : নজরুল ইসলাম

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরীর উপদেষ্টা নজরুল ইসলাম বলেছেন, অন্তবর্তী সরকার শতাধিক পণ্যের ওপর নতুন করে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক আরোপ করেছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের জীবনে দুর্ভোগ বাড়াবে। শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের দুর্ভোগ কমাতে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।

তিনি আজ চট্টগ্রামের একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানার বার্ষিক পরিকল্পনা ২০২৫ এর ওরিয়েন্টেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

থানা সভাপতি মুহাম্মদ হামিদুল ইসলাম-এর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক ও মহানগরী সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর সহ-সভাপতি নজির হোসাইন,

সদরঘাট থানা সভাপতি মুহাম্মদ বেলাল, কোতোয়ালি থানা সহ- সভাপতি শহিদুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হামিদ, অফিস সম্পাদক আব্দুল মান্নান কুতুবি ও থানার সকল নির্বাহী কমিটির সদস্য বৃন্দ প্রমুখ।

নজরুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের অবাধ দুর্নীতি লুটপাটের কারণে দেশ অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। আজকে ব্যাংকে টাকা নেই। ব্যবসা-বাণিজ্য মুখ থুবড়ে পড়েছে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে পতিত স্বৈরাচারের দোসরা বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে। আজকে তারা পালিয়ে গিয়ে বিদেশে বিলাসী জীবন যাপন করছে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, ভ্যাট বৃদ্ধি করে নয় বরং লুটেরাদের পাচারকৃত সম্পদ ও টাকা দেশে ফিরিয়ে আনুন। দেশের অর্থনীতি স্বাভাবিক করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।

তিনি বলেন, জনজীবন আজকে বিপর্যস্ত। মানুষ হাট বাজারে যেতে পারছে না। সিন্ডিকেট করে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে একদল অসাধু ব্যবসায়ী। মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টিকারী এসব হোতাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করুন। সকল সিন্ডিকেট ভেঙে দিন। আপনারা দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করছেন। আমরা আপনাদের প্রতিটি ভালো কাজের জোরালো সমর্থন দিচ্ছি। কিন্তু দেশের মানুষের পেট ও পকেট স্বস্তিতে না থাকলে মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়বে। এটি ভুলে যাবেন না।

এস এম লুৎফর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ২৪ সালে পুনরায় স্বাধীনতা লাভ করেছে। এই বিজয় ছাত্র-জনতার সীমাহীন ত্যাগের ফসল। ঘাতকের বুলেটের সামনে এই দেশের তরুণ যুবকদের পাশাপাশি শ্রমজীবী মানুষরা অসীম সাহস নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। তাদের ত্যাগ কুরবানির বদৌলতে আজকে আমরা মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে পারছি। এই নতুন বাংলাদেশে আমরা স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করতে চাই, এই দেশে আর ফ্যাসিজমের জন্ম হবে না, হতে দেওয়া হবে না। আগামীর বাংলাদেশ বির্নিমাণে শ্রমিকদের অংশগ্রহণ থাকবে। শ্রমিকরা শুধু কলকারখানায় শ্রম দিবে না। বরং দেশ গঠনে তারা ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করবে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে শ্রমিকদের কখনো মূল্যায়ন করা হয়নি। বরং প্রতিটি ক্ষেত্রে শ্রমিকরা নির্যাতন নিপীড়ন ও অবমূল্যায়নের শিকার হয়েছে। নতুন বাংলাদেশে শ্রমিকরা আর পিছনের সাড়িতে থাকবে না। তারা মাথা উঁচু করে সামনে সাড়ির নেতৃত্ব দিবে। এটাই বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ।

 


সম্পর্কিত খবর