বৃহস্পতিবার , ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রাম

সৎ, দক্ষ ও দেশ প্রেমিক নাগরিক তৈরিতে আমাদের সাথে শামিল হোন:কমার্স কলেজ শিবির

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সৎ, দক্ষ ও দেশ প্রেমিক নাগরিক তৈরির সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সারথী হতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগরী দক্ষিণ শিবিরের নেতারা।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল দশটা থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরের আগ্রাবাদের একটি হোটেলে চলা নবীন বরণ অনুষ্ঠানে এ আহবান জানান শিবির নেতারা। এসময় তারা বলেন, আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হলে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে ধারণ করে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। ছাত্রশিবির মানবাধিকার, নারীর অধিকারকে সমুন্নত রাখতে চায়। ছাত্রশিবির চায় এদেশের ঘরে ঘরে সৎ, যোগ্য ও দেশ প্রেমিক নাগরিক তৈরি করতে। ১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে সেই ধারা আজও অব্যাহত রেখেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। তাইতো আজ দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম ছাত্র সংগঠনে রূপ নিয়েছে শহীদী এই কাফেলা। আসুন শিবিরের ছায়াতলে, ইসলামের সুমহান আদর্শে আখলাক গড়ে তুলে নিজেকে করুন যোগ্য, সৎ এবং দেশ প্রেমিক।

শনিবার ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ শাখা চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘নবীন বরণ ২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল নয়টায় কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে নবীন বরণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান।

ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ শাখার সভাপতি মুজাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের পরিকল্পনা সম্পাদক তানভীর মোস্তফার সঞ্চালনায় এতে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ইব্রাহিম হোসেন রনি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মোঃ শহীদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মোঃ বরকত আলী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের কলেজ সম্পাদক আব্দুল্লাহ তারেক, ক্রীড়া সম্পাদক শাহ নেওয়াজ, আইটি সম্পাদক সাব্বির হুসাইন সাকিব।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান বলেন, ” জুলাই বিপ্লবের মূল শক্তি ছিল বাংলার তরুণরা। তরুণরা ঐক্যবদ্ধভাবে জাতির উপর চেপে বসা ফ্যাসিবাদকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। আগামী দিনেও তারুণ্যের ঐক্যবদ্ধ শক্তি ও প্রচেষ্টা যেকোনো ধরণের অন্যায় অবিচার রুখে দিয়ে এদেশকে নিয়ে যেতে পারে উন্নতির স্বর্ণশিখরে।

তিনি আরও বলেন, তরুণ ছাত্রসমাজকে মাদক-সন্ত্রাস থেকে দূরে রেখে এবং ইসলামের সুমহান আদর্শে লালন করে সৎ, দক্ষ, নাগরিক হিসেবে তৈরি করার যে লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কাজ করে যাচ্ছে তরুণদেরকে তারঔ সারথী হওয়ার আহ্বান জানাই।

তিনি আরও বলেন, তাকওয়াবান মানুষ হিসেবে ছাত্রশিবিরের জনশক্তিরা নিজেদের গড়ে তুলবে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষদের ভালোবাসতে হবে এবং ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করতে হবে। ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠার পর থেকে সকল জুলুম-বাঁধা আদর্শিক শক্তি দিয়ে প্রতিহত করেছে। তাই দেশের যেকোন সংকট ও ক্রান্তিকালে ছাত্রশিবির সর্বশক্তি দিয়ে সকল ষড়যন্ত্রের দাঁত ভাঙা জবাব দিবে।

প্রধান বক্তা ড. কাজী মোঃ বরকত আলী বলেন, তরুণদেরকে জ্ঞান ও দক্ষতার সমন্বয়ে নিজেদেরকে গড়ে তুলে আগামী দিনে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্র থেকে অন্যায় ও জুলুম দূর করতে এবং দেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ আবাসভূমিতে রুপন্তরিত করতে ছাত্রসমাজ নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ।

এর আগে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন বায়তুশ শরফ মাদ্রাসার একটি শিল্পী গোষ্ঠী। আর প্রশ্নোত্তর পর্বে জবাব দেন মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানটি প্রায় দুইশত ছাত্রছাত্রীর পাশাপাশি ছাত্রশিবির কমার্স কলেজ শাখার বিভিন্ন দায়িত্বশীলদের পদচারণায় মুখরিত ছিল। অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের কলেজ জীবনের সাফল্য কামনা করা হয়৷ এসময় তাদেরক শিবিরের পক্ষ থেকে ইসলামী সাহিত্য, ডায়েরীসহ আকর্ষণীয় উপহার প্রদান করা হয় এবং ফুল দিয়ে উচ্চ শিক্ষায় স্বাগত জানানো হয়।


সম্পর্কিত খবর